সুন্দরবন—বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের আবাসস্থল এবং প্রকৃতির বুকে ছড়িয়ে থাকা এক দুর্দান্ত রোমাঞ্চের নাম। আর এই অনন্য সৌন্দর্যের ঠিক প্রান্তেই গড়ে উঠেছে "বনবাস ইকো ভিলেজ"—যা শুধু একটি রিসোর্ট নয়, বরং প্রকৃতির সঙ্গে মিশে থাকার এক পরিপূর্ণ অনুভব। আপনি যদি শহরের কোলাহল থেকে দূরে গিয়ে সবুজে ডুবে থাকতে চান, প্রকৃতির নিস্তব্ধতায় নিজেকে হারিয়ে ফেলতে চান, তাহলে বনবাস ইকো ভিলেজ হতে পারে আপনার আদর্শ গন্তব্য।
বনবাস ইকো ভিলেজের বিশেষত্ব কী?
সুন্দরবনের সীমান্তবর্তী এলাকা, খোলামেলা পরিবেশ, বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরি কটেজ, নদীর ধারে বসে সূর্যাস্ত দেখা এবং দেশীয় খাবারের স্বাদ—এই সবকিছু একসঙ্গে দিচ্ছে বনবাস ইকো ভিলেজ। এটি কেবল একটি রিসোর্ট নয়, এটি একটি ইকো-ফ্রেন্ডলি প্রকল্প যেখানে স্থানীয় সংস্কৃতি, প্রকৃতি ও পরিবেশকে গুরুত্ব দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে প্রতিটি আয়োজন।
রিসোর্টের লোকেশন ও যেভাবে যাবেন:
বনবাস ইকো ভিলেজ, খুলনার দাকোপ উপজেলায় অবস্থিত, যা সুন্দরবনের একেবারে কাছাকাছি। খুলনা শহর থেকে সড়ক ও নৌপথ মিলিয়ে সহজেই যাওয়া যায়। ঢাকা থেকে খুলনা যেতে পারেন বাস বা ট্রেনে। খুলনা থেকে ছোট গাড়ি বা নৌকায় বনবাসে পৌঁছানো যায়।
থাকার ব্যবস্থা ও সুবিধাসমূহ:
- বাঁশ ও কাঠের তৈরি পরিবেশবান্ধব কটেজ
- নদীমুখী কটেজ যেখানে জানালা খুললেই প্রকৃতি
- শীততাপ নিয়ন্ত্রিত রুম, গরম পানি, পরিচ্ছন্ন বাথরুম
- দেশীয় খাবার ও সুস্বাদু সামুদ্রিক মাছের ব্যবস্থা
- ওয়াইফাই ও সোলার বিদ্যুৎ সুবিধা
- ভ্রমণ গাইড, ট্রলার ভাড়া ও বনের ট্রিপ ব্যবস্থাপনা
পর্যটকদের জন্য আকর্ষণ:
- সুন্দরবন এক্সপ্লোরেশন: কটকা, কচিখালী, হিরণ পয়েন্ট ভ্রমণের সুযোগ
- নদী ভ্রমণ: ভোরে নৌকায় করে প্রকৃতির মধ্যে ঘোরা
- স্থানীয় সংস্কৃতি: বাউল গান, গ্রামীণ জীবনধারা দেখা
- ফটোগ্রাফি ও বার্ড ওয়াচিং: বিরল প্রজাতির পাখি দেখা যায় এখানে
রিসোর্ট কেন ইউনিক?
বনবাস ইকো ভিলেজ এমনভাবে তৈরি যে এটি প্রকৃতিকে কোনভাবে ক্ষতি না করে পর্যটনের সুযোগ তৈরি করে। এখানে নেই প্লাস্টিক দূষণ, নেই অতিরিক্ত শব্দ—আছে শুধু পাখির ডাক, বনের গন্ধ আর নদীর কলতান। যারা পরিবেশ সচেতন, তাদের জন্য এটি আদর্শ স্পট।
শীতের শিশির ভেজা সবুজ স্বর্গ, শান্ত ও নিরব নির্জনতা যেন এক স্বর্গীয় অনুভুতি প্রেরণা দেয়..
তাই আর দেরি না করে কর্মব্যস্ত জীবন ছেড়ে শান্তির খোঁজে চলে আসুন মনের সুখে বনবাসে — যেখানে নেই কোনো কৃত্রিমতা, নেই তাড়াহুড়া
আছে শুধু পাখির গান, নদীর কলকল শব্দ আর সবুজের ছোঁয়ায় হারিয়ে যাওয়ার এক মোহময় সুযোগ।
মাত্র ২৭০০ টাকায় পাচ্ছেন সুন্দরবনের অন্যতম সুন্দর রিসোর্টে রাত্রীযাপনের সুযোগ
বনবাস - Banabash Eco Village, Sundarban - এ প্যাকেজে আপনাদের জন্য থাকছে:
ওয়েলকাম ড্রিংকস দিয়ে আপনাদের স্বাগতম জানানোর ব্যবস্থা, কাঠের কটেজে আরামদায়ক রাত্রি, ডিঙি নৌকা দিয়ে সুন্দরবন ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ , মংলা ঘাট থেকে সরাসরি বোট দিয়ে রিসোর্ট পর্যন্ত যাওয়া ও আসার সুবিধা, ৩ বেলা বাঙালি খাবারের পশরা, বিকালের নাস্তা , রাতে BBQ ও আছে। পাখির ডাক আর প্রাকৃতিক আলোয় ঘুম ভাঙা সকাল, করমজলে কুমির , হরিণ, পাখি আর অন্য সব পশু দেখার সুযোগ , নিরাপদ, ঝামেলামুক্ত এবং মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশে নির্জনতা, ২৪ ঘণ্টা Wifi এর ব্যবস্থা , যা আপনাকে রাখবে নেটওয়ার্ক এর ভিতরে।শহরের ব্যস্ততা থেকে মাত্র কিছু দূরেই আপনাদের জন্য অপেক্ষা করছে এক টুকরো স্বর্গ।
তাই এই শীতের মাঝে নিজেকে দিন প্রকৃতির কোলে — বনবাস -এর সঙ্গে!
অনেক পর্যটক বনবাস ইকো ভিলেজ সম্পর্কে বলেছেন, "এখানে সময় যেন থেমে যায়। চারদিকে শুধু শান্তি, নিস্তব্ধতা আর প্রকৃতি।" কেউ কেউ একে “Best Eco Resort in Sundarbans” হিসেবেও উল্লেখ করেছেন।
কি ধরনের ভিজিটরের জন্য উপযুক্ত:
- পরিবার নিয়ে ছুটি কাটাতে
- কাপলদের জন্য প্রাইভেট ও রোমান্টিক গেটওয়ে
- ফটোগ্রাফার, ব্লগার বা ইউটিউবারদের জন্য ইউনিক লোকেশন
- বন্যপ্রাণীপ্রেমী ও অ্যাডভেঞ্চার ট্রাভেলারের জন্য চমৎকার গন্তব্য
বুকিং ও খরচ:
প্রতিটি কটেজের বুকিং রেট মাঝারি বাজেটের মধ্যেই পড়ে এবং অগ্রিম বুকিং সুবিধা রয়েছে। অনলাইন বুকিং করলে স্পেশাল ডিসকাউন্ট পাওয়া যায়। সিজনের সময় আগে থেকে বুকিং করা উত্তম।
সুন্দরবনের একেবারে কোলে বসে প্রকৃতির নিসর্গ উপভোগ করতে চাইলে বনবাস ইকো ভিলেজই হতে পারে আপনার স্বপ্নের ঠিকানা। এখানে সময় কাটানো মানেই নিজের ভেতরের ক্লান্তিকে বিদায় জানানো, প্রযুক্তিকে ছুটি দেওয়া এবং প্রকৃতির সঙ্গে নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করা।
শুধু ভ্রমণ নয়, এটি হবে এক অনন্য অভিজ্ঞতা। বুকিং করুন আজই, আর তৈরি হয়ে যান প্রকৃতির সঙ্গে এক গোপন চুক্তিতে—"যেখানে শহরের আওয়াজ নেই, আছে কেবল পাখির গান আর নদীর গল্প..."
